Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

কী সেবাকীভাবে পাবেন

01.অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি):


কর্মসূচির উদ্দেশ:

কর্মহীন মৌসুমে স্বল্পমেয়াদী কর্মসংস্থান
স্বল্পমেয়াদী কর্মসংস্থানের মাধ্যমে কর্মক্ষম দুস্থ পরিবারগুলোর সুরক্ষা
 
প্রকল্পটি কাদের জ্ন্য ?

মূলত এলাকার অতিদরিদ্র এবং মৌসুমী বেকার শ্রমিক পরিবারের জন্য এই প্রকল্প

কে এই কর্মসূচির সুবিধাভোগী হতে পারবে?

দরিদ্র জনগোষ্ঠির অন্তর্ভূক্ত ব্যক্তি যার কাজের সামর্থ্য আছে এবং ভুমিহীন (বাড়ি ছাড়া ০.৫ একরের কম পরিমান জমি আছে)।
যে ব্যাক্তির মাসিক আয় ৪,০০০/- (চার হাজার) টাকার কম অথবা যার মাছ চাষের জন্য পুকুর বা কোন প্রণীসম্পদ নেই ।
অদক্ষ শ্রমিক যারা কাজ করতে আগ্রহী কিন্তু কোন কাজ পায় না । অদক্ষ শ্রমিক বলতে যারা দিন মজুর, রাজমিস্ত্রি,কাঠমিস্ত্রি, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি, গ্যাস মিস্ত্রি এবং কারখানা শ্রমিক অথবা যার অন্য কোন কাজের সুযোগ নেই । মহিলা এবং পুরুষ নির্বিশেষে একটি পরিবার থেকে মাত্র ০১ জন এ কাজের জন্য নির্বাচিত হবেন।
 
সুবিধা গ্রহণের জন্য কোথায় যেতে হয়?

১.ওয়ার্ড কমিটি

২.ইউনিয়ন পরিষদ অফিস

৩. উপজেলা পরিষদ অফিস

 
কিভাবে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়?

১.চাহিদা অনুসারে স্থানীয় জনগন ও উপকার ভোগীদের সম্পৃক্ত করে ওয়ার্ড পর্যায়ে সামাজিক প্রকল্পের প্রাথমিক নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয়

২. ইউনিয়নের ওয়ার্ড ভিত্তিক পরিকল্পনা প্রনয়ণের জন্য সভা আহবান করতে হবে । সভায় মহিলাসহ সর্বস্তরের জনগণের উপস্থিতির লক্ষ্যে ব্যাপক ভিত্তিক প্রচারনা চালাতে হয়

৩. ওয়ার্ড ভিত্তিক প্রকল্পের অগ্রাধিকার তালিকা সভার কার্যবিবরণীসহ ইউনিসয়ন কমিটির নিকট দাখিল করতে হয় ।

৪. বাছাইকৃত প্রকল্প তালিকা ইউনিয়ন পরিষদের নোটিশ বোর্ডে ঝুলিয়ে প্রচার করতে হয় ।
ইজিপিপি এর কাজের ধরণ

১. পুকুর, খাল খনন/পুন:খনন ।

২. বাঁধ নির্মাণ/পুন:নির্মাণ (পানি উন্নয়ন বোর্ডকর্তৃক সুপারিশকৃত)

৩. রাস্তা/বাঁধ নির্মাণ পুন:নির্মাণ

৪.গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন (রাস্তা, ব্রীজ)

৫. সেচ কাজের জন্য ও জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য খাল/ নালা খনন/ পুন: খনন ।

প্রকল্প থেকে কি কি সুবিধা পাওয়া যায় ?

১. প্রতি কর্মদিবসে ২০০/- টাকা (প্রতি পর্যায়ে ৪০ দিন/বছরে ০২ টি পর্যায়) । ২৫/- টাকা সঞ্চয় হিসেবে জমদা থাকবে ।

২. জবকার্ড সরবরাহ, ১০/- টাকায় একটি ব্যাংক হিসাব খোলা, প্রতি বৃহস্পতিবার মজুরী উত্তোলন ।

৩. পুরুষ/ মহেলা সমান মজুরীর অধিকারী।

৪. কার্যক্ষেত্রে মজুরীর হার প্রদর্শন করতে হয় ।

৫. জবকার্ডে মজুরী প্রদানের সকল তথ্য থাকতে হয় ।

 

02.কাবিখা :

সুবিধা গ্রহণের জন্য কোথায় যেতে হয়?
১.ওয়ার্ড কমিটি
২.ইউনিয়ন পরিষদ অফিস
৩. উপজেলা পরিষদ অফিস

কর্মসূচীর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য :
কিভাবে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়?
    প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামীন অবকাঠামো  নির্মাণ /পুননির্মাণ
     স্বাভাবিক অবস্থায় গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য এই কর্মসূচীর আওতায় বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন
     গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি
     গ্রামীণ দরিদ্র জনগনের আয় বৃদ্ধি
     দেশের সর্বত্র খাদ্য সরবরাহের ভারসাম্য আণয়ন  এবং
      দারিদ্র বিমোচনে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্ট

03.টিআর :

সুবিধা গ্রহণের জন্য কোথায় যেতে হয়?
১.ওয়ার্ড কমিটি
২.ইউনিয়ন পরিষদ অফিস
৩. উপজেলা পরিষদ অফিস

কর্মসূচীর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য
কিভাবে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়?
সামাগ্রিকভাবে দুর্যোগ  ঝুঁকিহ্রাসের জন্য গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ

–  গ্রামীণ এলাকায় অপেক্ষাকৃত দুর্বল ও দরিদ্র জনগণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি (সম্পদের ২০%);

–  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও মন্দির মেরামত ও উন্নয়ন করা;

–   গ্রামীণ এলাকায় খাদ্যশস্য সরবরাহ ও জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা  বিধানে সহায়তা করা;

–   দারিদ্র বিমোচনে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি;

 

04. মানবিক সহায়তা কর্মসূচি:

ভিজিএফ এবং জিআর-
 
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় দুর্যোগকালিন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে এবং কৃষি ক্ষেত্রে কর্মহীন সময়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেশব্যাপী মানবিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে থাকে। এই মানবিক সহায়তা কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:

(১) দুঃস্থদের খাদ্য সহায়তা (ভিজিএফ)

(২) খাদ্য ও অর্থ সহায়তা (জিআর)

 1.দুঃস্থদের খাদ্য সহায়তা (ভিজিএফ):

ভিজিএফ একটি মানবিক সহায়তা কর্মসূচি, যার মাধ্যমে সরকার দরিদ্র পরিবারের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করে থাকে। ভিজিএফ কর্মসূচিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের মধ্যে খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হয়। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হচ্ছে দরিদ্র পরিবারের দারিদ্র্য হ্রাস করা : (১) দুঃস্থ ও গরীর জনগণের দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন করার লক্ষ্যে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; (২) পীড়িত জনগণ এবং শিশুদের রোগ প্রতিরোধ করা; (৩) মন্দার সময়ে কর্মহীন জনগণের মধ্যে খাদ্য সরবরাহ করা; (৪) উপকারভোগীদেরকে সাময়িক সাহায্যের মাধ্যমে দারিদ্র্য নিরসনে অবদান রাখা, বিশেষ করে অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা করা।

এই কর্মসূচির উপকারভোগী হচ্ছে: (১) যার বসতভিটা ব্যতীত অন্য কোন জমি নাই এরূপ ভূমিহীন ব্যক্তি; (২)দরিদ্র ও অতিদরিদ্র ব্যক্তি/পরিবার, যারা সাধারণত: দৈনিক ২ বেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে পারে না; (৩)প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি/পরিবার, যারা তীব্র খাদ্য ও অর্থ সংকটাপন্ন; (৪) ব্যক্তি/পরিবার যারা বেকারত্বের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করতে পারে না; (৫) অতি দরিদ্র ব্যক্তি/পরিবার, যারা বিশেষ পেশায় নিয়োজিত এবং যাদেরকে জনস্বার্থে তাদের পেশা থেকে নিবৃত রাখা প্রয়োজন হয়; (৬) প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী শিশু, যারা অপুষ্টিতে ভুগছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে ২ কিস্তিতে খাদ্যশস্য বার্ষিক বরাদ্দ পেয়ে থাকে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর আবার এ খাদ্যশস্য যোগ্য উপকারভোগীদের মধ্যে বিতরনের জন্য নির্দিষ্ট উপজেলার জনসংখ্যা এবং দারিদ্রসীমা বিবেচনা করে জেলা প্রশাসকের অনুকূলে উপজেলা ভিত্তিক উপ-বরাদ্দ প্রদান করেন।

2.খাদ্য ও অর্থ সহায়তা (জিআর):
জিআর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের একটি মানবিক সহায়তা কমসূচি, যাতে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে জরুরি সাহায্য হিসেবে খাদ্যশস্য/নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। জিআর কর্মসূচির উদ্দেশ্য হচ্ছে: (১) বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ও অভাবগ্রস্ত ব্যক্তি/পরিবারকে তাৎক্ষণিক খাদ্য/অর্থ সহায়তা প্রদান করা; (২) দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির চিকিৎসা/নিহত ব্যক্তি/পরিবার অথবা প্রাকৃতিক/মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় ব্যক্তি/পরিবারকে বিশেষ বিবেচনায় খাদ্য/অর্থ সহায়তা প্রদান করা; (৩) সরকারি/বেসরকারি এতিমখানা, লিল্লাহ-বোডিং, শিশুসদন, মূসাফির/লঙ্গরখানা,ধর্মীয় উৎসবে উপস্থিত জনগণকে খাদ্য ও অর্থ সহায়তা প্রদান করা; (৪) প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল/ কলেজ/ মাদ্রাসা/ এতিমখানা/ মসজিদ/ মন্দির/ গীর্জা/ প্রাগোডা/কিয়াং/পাঠাগার/অন্যান্য নিবন্ধিত সামাজিক প্রতিষ্ঠান পুনঃনির্মাণ ও সংস্কারের জন্য ঢেউটিন ও অর্থ সাহায্য প্রদান করা।

কালবৈশাখী, ঘূর্ণিঝড়, অগ্নিকান্ড, ভূমিকম্প, ভূমিধ্বস, নদীভাঙ্গন ইত্যাদি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে জরুরি সহায়তা প্রদানের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে বার্ষিক খাদ্যশস্য এবং নগদ অর্থ বরাদ্দ পেয়ে থাকে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর আবার যোগ্য উপকারভোগীদের মধ্যে জরুরি সহায়তা হিসেবে বিতরণের জন্য বিভিন্ন জেলা প্রশাসকের অনুকূলে উপজেলা ভিত্তিক খাদ্যশস্য/অর্থ উপ-বরাদ্দ প্রদান করে।